জাহিদ হাসান:
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার মহরুদ্দিরচর এলাকায় নিজ ঘরে ঢুকে বারেক সরদারের ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী জহিরুল ইসলাম (১৮) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় বন্ধু নুরুজ্জামান সরদারকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গোপন ভিডিও ধারণ করার কারনেই জহিরুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বলে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন মাদারীপুর পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল। ঘটনার ৮দিন পর একমাত্র অভিযুক্ত এলাকার সালাম হাওলাদারের ছেলে বন্ধু নুরুজ্জামানকে (১৮) ঢাকার শ্যামপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি কালকিনির মহরুদ্দিরচর এলাকায় নিজ ঘর থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী জহিরুল ইসলামের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় নিহতের বড় ভাই শাহীন সরদার অজ্ঞাতদের আসামি করে কালকিনি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে থানা পুলিশের পাশাপাশি জেলার গোয়েন্দা পুলিশ তদন্তে নামে। হত্যাকান্ডের ঘটনায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর শ্যামপুর থেকে বুধবার রাতে মহরুদ্দিরচর এলাকার সালাম সরদারের ছেলে বন্ধু নুরুজ্জামানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় উদ্ধার করা হয় নিহত জহিরুলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন। পরে গ্রেফতারকৃত নুরুজ্জামানকে আদালতে পাঠানো হয়। সেখানে ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয় অভিযুক্ত নুরুজ্জামান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) চাইলাউ মারমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) রিমন রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর দপ্তর) মনিরুজ্জামান ফকির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এএন ওয়াসিম, কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইশতিয়াক আশফাক রাসেল, ডিবি পুলিশের ওসি আল মামুন ও প্রিন্ট-ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইশতিয়াক আশফাক রাসেল জানান, নিহত জহিরুল সমিতিরহাট আবু খালেক মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগ থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলো। তার বাবা বারেক সরদার কাতার প্রবাসী। এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় শিগগিরিই আদালতে চার্জশিট দেয়া হবে।