গৌরনদী প্রতিনিধি >>
বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া থানাধীন রাজিহার ইউনিয়নের উত্তর ভালুকসী গ্রামে পুকুরে মাছ ধরা কে কেন্দ্র করে মৃত কাসেম মৃধার ছেলে মোঃ মফিজ উদ্দিন মৃধাকে পিটিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের পিতা ও পুত্রের বিরুদ্ধে। ঘটনার সূত্র জানা যায় যে ভুক্তভোগী মফিজউদ্দিন মৃধা দীর্ঘদিন ধরে তার নিজস্ব পুকুরে মাছ চাষ করে আসছে। লোকমুখে জানতে পারে কে বা কাহারা প্রতিরাতেই তার পুকুর থেকে চুরি করে মাছ ধরে ও শিকার করে নিয়ে যায়। সেই সুবাদে তিনি ঘটনার দিন ১৫ ই সেপ্টেম্বর শুক্রবার দিবাগত রাতে নিজ পুকুরপাড়ে বসে মাছ পাহারা দিচ্ছিলেন। হঠাৎ রাত আনুমানিক ১১ টার সময় দেখতে পান কে যেন পুকুর থেকে মাছ শিকার করছেন।তিনি তখন তার হাতে থাকা টর্চ লাইটের আলো মারলে দেখতে পায় পুকুরপাড়ের পার্শ্ববর্তী বাড়ির মোহাম্মদ ফজর আলী মৃধার ছেলে কোরবান মৃধা মাছ শিকার করছেন।তিনি তখন চুরি করে মাছ শিকার করার বিষয়টি জানতে চাইলে অভিযুক্ত কোরবান বিষয়টি অস্বীকার করে। তখন ভুক্তভোগী মফিজ উদ্দিন মৃধা দেখতে পায় যে কোরবান দুটি মাছ শিকার করে পুকুরপাড়ে ফেলে রাখছে। এ নিয়ে ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটি শব্দ পেয়ে অভিযুক্ত কোরবানের পিতা ফজর আলী মৃধা পুকুরপাড়ে ছুটে এসে তিনিও ভুক্তভোগী মফিজউদ্দিন মৃধার সাথে বাগবিতণ্ডা জড়িয়ে পড়েন। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে পিতা ও পুত্র মিলে পুকুর মালিক ভুক্তভোগী মফিজ উদ্দিন মৃধাকে বেধরক মারধর করলে তার সামনের পাটির একটি দাঁত ভেঙে যায় এবং তিনি গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়ে পরলে অভিযুক্তরা ভুক্তভোগীকে রাস্তায় রেখে দ্রুত পালিয়ে যায়। তখন ভুক্তভোগীর ডাক চিৎকারের শব্দ পেয়ে এলাকাবাসী ও পরিবারের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার দেওয়ার পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে তার ছেলে বাদী হয়ে আগৈলঝাড়া থানায় পিতা-পুত্রকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। আগৈলঝাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সরোয়ার হোসেনের নিকর্দেশনায় মামলার ২নং আসামি মো. ফজল আলী মৃধা কে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন অন্য আসামিকে গ্রেপ্তারের আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ও তার পরিবারের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা মারামারির বিষয়টি স্বীকার করলেও মাছ চুরির বিষয়টি অস্বীকার করেন।