গৌরনদী প্রতিনিধি >>
বহুল আলোচিত ধর্ষণ মামলার চিহ্নিত পলাতক আসামি মো. ইদ্রিস হাওলাদার (৫০) ও দুলাল হাওলাদার (৩০) বরিশাল র্যাব-৮ ও ডাসার থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে ঢাকা যাত্রাবাড়ী এলাকার র্যাব-১০ সদস্যদের সহযোগিতায় ২০ সেপ্টেম্বার রোজ বুধবার ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তীতে গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষণ মামলার আসামিদের কে মাদারীপুর র্যাব-৮ এর কাছে হস্তান্তর করে ঢাকা র্যাব-১০। সেখান থেকে ডাসার থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিগত (৫ সেপ্টেম্বর) এক নারীকে ভাড়া করে এনে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ধর্ষণের মিথ্যে মৌখিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল গৌরনদী মডেল থানায়। ওই নারীর মৌখিক বক্তব্যের মধ্যে রহস্য খুঁজে পায় গৌরনদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আফজাল হোসেন।
তখন তিনি গৌরনদী মডেল থানায় কর্মরত এসআই মোঃ দেলোয়ার হোসেন বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সত্য ঘটনা উদঘাটন করতে নির্দেশ প্রদান করেন। এসআই তখন সঙ্গীয় ফোর্সসহ ওই নারীর দেয়া তথ্য মতে অভিযুক্ত ওই নারীকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায়। তখন পুলিশি জেরার মুখে লোকসম্মুখে ওই নারী সত্য কথা স্বীকার করে এবং স্মার্ট মোবাইল ফোনে ধর্ষকদের ছবি ও মোবাইল নাম্বার দেখিয়ে সত্য বিষয় নিশ্চিত করে।
পরবর্তীতে ভুক্তভোগী ওই নারীকে নিয়ে তার পুনরায় দেয়া সঠিক তথ্য মতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায় গৌরনদী থানা পুলিশ ও পার্শ্ববর্তী মাদারীপুরের ডাসার থানা পুলিশ।
ডাসার থানা এলাকার পূর্ব মাইজপাড়া গ্রামের কালাম বেপারীর বাড়িতে বসে ধর্ষণের এই ঘটনাটি সংঘটিত হয় বলে জানতে পেরে সরজমিনে গিয়ে বাড়ির মালিক কালাম বেপারীর মৌখিক বক্তব্যের মাধ্যমে বিষয়টি শতভাগ সুনিশ্চিত হয় উভয় থানা পুলিশ।
যেহেতু ডাসার থানা এলাকায় অপরাধটি সংঘটিত হয় তাই আইন অনুযায়ী ডাসার থানায় ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
সেই মামলার পলাতক আসামি ইদ্রিস হাওলাদার ও দুলাল হাওলাদারকে র্যাব-৮ ও ডাসার থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে ঢাকা র্যাব-১০ এর সহযোগিতায় যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।
ডাসার থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাসানুজ্জামান বলেন, ধর্ষণ মামলার দু’জন আসামী গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এজাহার ভুক্ত বাকি আসামিদের গ্রেফতার করতে কাজ করছে পুলিশ।