জাহিদ হাসান:
মাদারীপুর জেলার সব উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাব পড়েছে। থেমে থেমে সারাদিন হচ্ছে বৃষ্টি। ঘনবৃষ্টির কারণে কমেছে বেচাকেনা। এতে চরম দুঃশ্চিন্তায় রয়েছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে সদরসহ প্রতিটি উপজেলাজুড়ে টানা তিনদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। আগের দুইদিন হালকা রোদের ঝলকানি দেখা গেলেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শুরু হয় ঘনবৃষ্টি। এ বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট কাদা পানিতে জ্বরজড়িত হয়ে গেছে। ছাতা ছাড়া ঘর থেকে হতে পারছেন না কেউ। একেতো শীতকাল তারউপরে বৃষ্টি। দুই মিলে দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে জনজীবন।
সরজমিনে মাছ, মাংস ও কাচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, এ বেহাল পরিস্থিতির মধ্যে বাজারমুখি মানুষের চাপ কম। জরুরী প্রয়োজনে কেউ বাজারে আসলেও শাকসহ দ্রুত পচনশীল সবজি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। রান্নার ঝামেলা এড়াতে সাধ্যমতো বড় মাছ, মুরগী অথবা মাংস কিনে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন তারা। এদিকে ঝুড়িতে করে বিভিন্ন ধরনের শাক সবজি নিয়ে বসে আছেন ক্ষুদ্র কাচামাল বিক্রেতারা।
বাজার করতে আসা মহাসিন গাজি বলেন, মাছের থেকে পোল্ট্রি মুরগীর দাম কম আর ঝামেলাও কম। তাই মুরগী ও আলু কিনে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি।
এক ক্ষুদ্র সবজি বিক্রেতা মোস্তফা মুন্সী বলেন, ঝাকায় করে লাউ, চাল কুমড়া ও লাল শাক নিয়ে বসে আছি কিন্তু কেউ কিনছে না। সকাল থেকে মাত্র কয়েকটা লাউ বিক্রি করছি। আজ বৃষ্টির কারণে শাক কেউ নিতে চায় না।
আরেক দোকানী সেলিম মিয়া বলেন, প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার টাকার শাক সবজি কেনাবেচা করি। তাতে ৪-৫ শত টাকা আয় হয়। এ দিয়েই আমার সংসার চলে। এখন বৃষ্টির কারণে দূরের মানুষ বাজারে আসতে পারে নাই, তাই বেচাকেনার অবস্থাও ভালো না।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।