Desher Khabor
ঢাকাবুধবার , ২৫ জানুয়ারি ২০২৩
  1. অপরাধ ও দুর্নীতি
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আর্ন্তজাতিক
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. খেলাধুলা
  7. জবস্
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. ধর্ম
  11. পড়াশোনা
  12. প্রবাসের খবর
  13. ফিচার
  14. বিনোদন
  15. ভিডিও
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মাদারীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারে বাড়ছে ঝুঁকি

madaripurbarta
জানুয়ারি ২৫, ২০২৩ ৫:০৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মাদারীপুর প্রতিনিধি:
মাদারীপুরে শহর থেকে গ্রাম সবখানেই হাতের কাছেই মিলছে বিভিন্ন কোম্পানীর মেয়াদউর্ত্তীণ গ্যাস সিলিন্ডার। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই পুরনো বোতলের মেয়াদউর্ত্তীণ এই সিলিন্ডার বেশি দামে বিক্রি করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এমন কি দোকানদারের মোবাইলে কল দিলেই বাসা-বাড়িতেও ব্যবহারের জন্য পৌঁছে দেয়া হয় এই সিলিন্ডার। ফায়ার সার্ভিস বলছে, এখনই নিয়ন্ত্রন করা না গেলে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।
জান যায়, সম্প্রতি মাদারীপুরের শিবচরের আল রিফাত রেস্টুরেন্টের ভেতরে গ্যাস সিলিন্ডার লিক হয়ে ধরছে আগুন। শুরু হয় ক্রেতাদের চিৎকার চেচামেচি। খবর পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে ফায়ার সার্ভিস। প্রতিষ্ঠানের মালিক ফরহাদ বেপারী জানেন না, কোন কোম্পানীর সিলিন্ডার ব্যবহার করছেন তিনি।
শুধু এই রেস্টুরেন্টেই নয়। জেলার সবক’টি উপজেলার হোটেল, রেস্তোরা আর অধিকাংশ বাসা-বাড়িতে ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন কোম্পানীর নামে বাজারে পাওয়া গ্যাস সিলিন্ডার। বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস, জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই হাটবাজারগুলোতে এই সিলিন্ডার বিক্রি করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। পুরনো বোতলেই সিলিন্ডার বাজারজাত করায় বাড়ছে ঝুঁকি। মাদারীপুর জেলাজুড়ে অর্ধশত পাইকারী দোকানে এই গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করা হয়। আর খুচরা দোকানের সংখ্যা কয়েকশ’। শহর কিংবা গ্রাম, সবখানেই অহরহ বিক্রি হচ্ছে এই গ্যাস সিলিন্ডার। অথচ একটি সিলিন্ডারের গাঁয়ে লেখা নেই নির্ধারিত মূল্য, উৎপাদন কিংবা মেয়াদউর্ত্তীনের তারিখ। যার ফলে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা।
শিবচরের আল রিফাত রেস্টুরেন্টের মালিক ফরহাদ বেপারী বলেন, বাজারে যেটা পাই, সেই সিলিন্ডার কিনে এনে ব্যবহার করি। সরকার থেকে এসব অবৈধ গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি বন্ধ করলে আমরা সঠিকভাবে নতুন সিলিন্ডার বাজারে পেতাম। সরকার থেকে কখনও এ ব্যাপারে নির্দেশনাও পাইনি।
মাদারীপুরের চরমুগরিয়া এলাকার গৃহীনি ও বাসিন্দা লিজা আক্তার বলেন, কোন একটি গ্যাস সিলিন্ডারের বোতলে সরকার নির্ধারিত কোন মূল্য লেখা নেই। দোকানদার যখন যেভাবে পারে ক্রেতাদের কাছ থেকে সেইমতোই টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রশাসন তৎপর হলে অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌড়াত্ম্য কমবে।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করা, আর বিক্রির লাগাম টানতে না পারলে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, এখনই অবৈধ এই গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির বন্ধ করা না হলে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাতে পারে সাধারণ মানুষ। নিয়ম অনুযায়ী নতুন বোতলে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি ও ব্যবহার করা হলে জনসাধারণ উপকৃত হবে। এক্ষেত্রে সবার আন্তরিকতা ও সহযোগিতা প্রয়োজন।
এদিকে এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতেই রাজি নন গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ী ও পাইকাররা। তবে, অনেক ব্যবসায়ী দাবি করেন, সারা দেশেই একইভাবে গ্যাস সিলিন্ডার ক্রয়-বিক্রয় হয়। বড় ধরনের অভিযান চালালে এর নিয়ন্ত্রন সম্ভব বলে জানান তারা।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শিগগিরই যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সরকার অনুমতি ছাড়া কেউ এই গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করতে পারবে না। এ ব্যাপারে প্রশাসন সজাগ রয়েছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।