মাদারীপুর প্রতিনিধি:
মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর এলাকায় পরকয়া প্রেমের সাথে স্বর্ণালংকারসহ ৩০ লাখ টাকা ও একমাত্র পুত্র সন্তানকে নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সৌদি প্রবাসী রাসেল হাওলাদারের পরিবার।
সোমবার সন্ধ্যায় মাদারীপুর শহরের আমার সংবাদের জেলা কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে ভিডিও কলে ভুক্তভোগী রাসেল হাওলাদার বলেন, আমি সৌদি প্রবাসী। বিগত আট বছর আগে একই গ্রামের মোস্তফাপুর শওকত ব্যাপারীর মেজ মেয়ে মোসাম্মদ কাকলি আক্তারের সাথে আমার সাথে বিগত ২০১৬ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হই। দীর্ঘদিন হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করে রক্ত পানি করা একজন সৌদি প্রবাসী শ্রমিক রেমিটেন্স যোদ্ধা আমি। আমাদের বিয়ের প্রথম বছর আমাদের দুজনের সংসার সুখে শান্তিতেই চলে আসছিল। বিয়ের এক বছরের মধ্যেই আমাদের ঘর আলোয় আলোকিত করে এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয় তার নাম মোঃ আরাবী বর্তমান বয়স সাত বছর।
সন্তান হওয়ার এক বছর পর পরে সংসারের অভাব অনাটন থাকায় সৌদি আরবে পাড়ি জমাই। তারপর থেকেই শুরূ হয় জীবন যুদ্ধ । দীর্ঘ ৬ বছর যাবত প্রবাসে থেকে রক্ত পানি করা পয়সা তিলে তিলে জমিয়ে রাখি আমার স্ত্রীর কাকলির কাছে। তার শখ পুরনোর জন্য বানিয়ে দেই ১০ ভরির স্বর্ণ অলংকার। এবং তার কাছে জমা রাখি আমার কষ্টের উপার্জিত প্রায় ২০ লক্ষ টাকা। দীর্ঘদিন যাবত তার কাছে জমা রাখা টাকা দিয়ে জমি কেনার ব্যাপারে আলাপ করে টাকা চাইলে সে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে গত বছর জানুয়ারি মাসের ৩ তারিখে বাংলাদেশে আসি একাধিকবার তার বাবা-মা আত্মীয়-স্বজনকে অবগত করে টাকা চাইলে সে দিতে রাজি না হওয়ায় আমি মনঃক্ষুন্ন হয়ে দেশের বাহিরে চলে আসি। তারপরেই শুরু হয় আমার সংসারে অশান্তি। এরপর পরপরই শুনি তার সাথে মোস্তফাপুর এলাকার ইমাম আকনের ছেলে সুমন নামে একজনের সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলে জানতে পাই। এ বিষয় নিয়ে এলাকায় একাধিক শালী সীমাশার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করিলেও কোন লাভ হয়নি। কিছুদিন পরে আমার স্ত্রীর কাকলি আক্তারকে একাধিকবার তার নাম্বারে ফোন দিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাইনি। আমার নিজ বাড়িতে ফোন দিলে শুনি আমার স্ত্রী কাকলি আক্তার পরকীয়া প্রেমিক সুমন আকনের সাথে রাতের অন্ধকারে আমার একমাত্র ছেলেকে ও স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থসহ পালিয়ে যায়। আমি এর সঠিক বিচার চাই।